তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৪৮ বছর ধরে কবিতা
ও পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছেন মো. গফফার হোসেন (৬০)।
এখনও তাকে দেখা যায় বোয়ালমারী পৌর সদর বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে পত্রিকা বিক্রি করতে। সকাল হলেই স্থানীয় পত্রিকার এজেন্টের নিকট থেকে পত্রিকা কিনে বিক্রি করতে বের হয়ে পড়েন। গফফার হোসেনের বাড়ি উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা গ্রামে। তার চার ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২)। সে দিঘিরপাড় বাজারে বিদ্যুতের সামগ্রী বিক্রি করেন।
মেজো ছেলে মাওলানা। সে মধুখালী ভূষনা মাদরাসায় শিক্ষকগতা করেন। ছোট দুই ছেলে বোয়ালমারী সরকারী ডিগ্রি কলেজ ও কাদিরদি ডিগ্রি কলেজে অনার্স পড়ছে। তারা দুইজন বোয়ালমারীতে একটি এটিএম বোথে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করে।
গফফার হোসেনের সাথে শনিবার (২১ জানুয়ারী) থানা রোডে কথা বলার সময় তিনি বলেন, মাত্র ১২ বছর বয়াসে ১৯৭৪ সাল থেকে তিনি কবিতা বিক্রি করতে শুরু করেন। সে সময় তিনি নগরকান্দা, মধুখালী, সালথা, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে কবিতা বিক্রি করতেন। তখন কবিতা বিক্রি করে মাসে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা আয় করতেন।
১৯৯৮ সাল থেকে কবিতার পাশাপাশি স্থানীয় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তা পত্রিকার সম্পাদক এ্যাডভোকেট কোরবান আলীর সহযোগিতায় স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিক্রি শুরু করেন। তখনও তিনি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার
টাকা আয় করতেন কবিতা ও পত্রিকা বিক্রি করে। ওই টাকা দিয়ে তার চার ছেলের লেখাপড়ার খরচ দিয়ে সংসার চালাতেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে পত্রিকা বিক্রি করে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করি। এখন আর আগের মতো বিভিন্ন এলাকায়
যেতে পারি না। বর্তমানে শরীর অনেক অসুস্থ। বয়সও অনেক হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, কষ্ট করে হলেও চারটি ছেলেকে পড়াশোনা শিখাতে পেরেছি। গফফার হোসেনরা চার ভাই এক বোন। ভাই বোনের মধ্যে গফফার হোসেন বড়। তার আরো তিন
ভাই কৃষক। তাদের নিজস্ব কোন জমি নেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।